ওপেনার টা দিয়ে স্প্রাইটের
ঢাকনাটি খুলতেই কার্বনডাই অক্সাইডের
বুদবুদের শব্দ পাওয়া গেলো ।
বিজয়ীর ভঙ্গিতে হাসিদিয়ে ওটা ইতির
দিকে এগিয়ে দিলো অন্বয় ।
আধঘন্টা ধরে ঝিমমেরে বসে আছে ইতি ।
এবার একটা ভয়ঙ্কর চাহনি দিয়ে চোখ
সরিয়ে নেয়া ছাড়া কিছুই করলোনা ।
আসলেই এই গাধাটাকে নিয়ে অনেক
বিপদে পড়েছে ও । সময় অসময় নেই সবসময়
ইয়ার্কি । রাতে ফোন দেবে বলবে বেগাম
আজকাল
শরীরটা ভালো যাচ্ছেনা ইয়েটা ডালের
কাছাকাছি বসতেই ঢুশ !!
এত কেমন করে পারে ও । একটা কমনসেন্স নেই
। এখন স্ট্র দিয়ে ফু দিচ্ছে স্প্রাইটের
বোতলে কি বিচ্ছিরি । কোন
রেস্টুরেন্টে গেলে ওয়েটারের
সাথে কয়েকপলকে ভাব কয়ে ফেলে এমন
অবস্থা যে ওয়েটার তার
বাচ্চাকালথেকে দোস্ত ।
- এই একটু থামতো কি করতেছ এটা ?
- উ কিছুনা
কিছুনা বলেই আবার শুরু করলো । ইতির
ইচ্ছে করছে যে উঠে চলে যায় । কিন্তু কিছু
জরুরী কথা ছিলো অন্বয়ের সাথে । অন্বয়
হয়তো জানে কিন্তু এখনি সব ক্লিয়ার
করা উচিত্ ।
- আমি উঠতে চাচ্ছি চলো ।
- এত জলদি ?
এখনি তো ধনিয়া ( রেস্টুরেন্টে খাবারের
পরে যেটা দেয় খেতে বাটিতে এনে )
গুলোই তো শেষ হলোনা ।
- আচ্ছা খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে নিও
এখানে আমি যাচ্ছি ।
এইবলার পরে ইতি চলে যাওয়ার জন্য
উঠেছে অন্বয়
ধনিয়াগুলো টিসুপেপারে ঢেলে নিয়ে উঠলো ।
দশ টাকা ওয়েটারের সাতে দিয়ে ইতির
সাথে বেরিয়ে পড়লো । আকাশে মেঘমেঘ
ঘড়িতে সাড়ে এগারোটা একটা রিকশা নিয়ে অন্বয়ের
সাথে যাচ্ছে ও জিয়া উদ্যানে ।
সেখানেই আজকে সব ক্লিয়ার করার
কথা মনে করেছিলো ইতি ।
আজ সব বিল ভাড়া ইতি দিয়েছে ।
রিকশা ওয়ালাকে ২০ টাকার একটা নোট
দিয়ে হাটা শুরু করলো ।উদ্যানের দিকে আর
গেলোনা আর সংসদ ভবনের পাশে রাস্তার
ফুটপাতে বসলো তারা ।
ফুটপাতটি রাস্তা থেকে উচু এবং বসার মত
জায়গা । আশেপাশে কিছু
জুটি বসে আছে একই রকম করে । দুরে ৩ জন
পুলিশকে দেখা যাচ্ছে ।
বলা শুরু করলো ইতি
- তুমি জানো তবুও কিছু বিষয়
এখনি বলে ফেলা উচিত্ । আমি আর
পারতেছি না । তুমি কি করছো ? এত
কমনসেন্স হীন কেমন করে হও তুমি ? আমি আর
পারছিনা । আমাদের সবকিছুর এখানেই শেষ
করা উচিত্ । আর আমি চাই তুমি আমার
থেকে অনেকটা দুরে যাও । আমি তোমার মুখ
আর দেখতে চাইনা । এখন কি বলবে বলো ।
একটু দমদিলো ইতি ।
কৃষ্ণচুড়া গাছের লাললাল ফুলের
দিকে তাকিয়ে ছিলো অন্বয় ।
ওদিকে তাকিয়েই বললো তুমি কি অন্য
কাওকে পেয়েছ ?
- না
- ও আচ্ছা । তা আমার কোন অন্য দায়িত্ব ?
- নেই ।
- আচ্ছা একটা জিনিষ তোমার
কাছে জানার ছিলো ।
- বলো ।
- ব্রেক আপের সময় কি বলতে হয় ?
- ভালোবাসা শুরুর একটা নির্দিষ্ট
ভাষা আছে । ব্রেক আপের নেই ।
- আচ্ছা একটা কথা রাখবে ?
- বলো ।
- আজকে একটু আমার সাথে ভিজবে আর একটু
পরে বৃষ্টি আসবে ?
- তুমি কিভাবে জানো একটু
পরে বৃষ্টি আসবে ?
- আমি জানি । ভিজবে একটু ?
ঠিক এইসময় বুকটা মোচড় দিয়ে উঠলো ইতির ।
তার ইচ্ছে করছে জোর গলায় একটু কেদে নিক
সে । এই সময়েই বৃষ্টিটা শুরু হলো ।
সিনেমাটিক
ভাবে বৃষ্টিটা কে এভাবে আসতে হবেই
এখন ? চারিদিকে ছুটোছুটি শুরু হয়েছে ।
রিকশা গুলো ঝড়ের
গতিতে চালানো হচ্ছে ।
আর
থাকতে পারলোনা ইতি থামাতে পারলোনা অশ্রুটাকে অঝরে কেদে উঠলো সে ।
অন্বয় এসময় ইতির ডানহাতটি ধররো ইতির ।
তার চোখেও জল । এই বৃষ্টির মাঝেও
ইতি তা দেখতে পেলো ।
ইতি জড়িয়ে ধরলো অন্বয়কে ফুপিয়ে কাদছে সে ।
অতীত গুলো মনে পড়ছে তার । এসময় অন্বয়
হটাত্ বলে উঠলো আগে কত সুন্দর দিন
কাটাতাম না ? ইতি কাঁদছেই !!!
.
ঢাকনাটি খুলতেই কার্বনডাই অক্সাইডের
বুদবুদের শব্দ পাওয়া গেলো ।
বিজয়ীর ভঙ্গিতে হাসিদিয়ে ওটা ইতির
দিকে এগিয়ে দিলো অন্বয় ।
আধঘন্টা ধরে ঝিমমেরে বসে আছে ইতি ।
এবার একটা ভয়ঙ্কর চাহনি দিয়ে চোখ
সরিয়ে নেয়া ছাড়া কিছুই করলোনা ।
আসলেই এই গাধাটাকে নিয়ে অনেক
বিপদে পড়েছে ও । সময় অসময় নেই সবসময়
ইয়ার্কি । রাতে ফোন দেবে বলবে বেগাম
আজকাল
শরীরটা ভালো যাচ্ছেনা ইয়েটা ডালের
কাছাকাছি বসতেই ঢুশ !!
এত কেমন করে পারে ও । একটা কমনসেন্স নেই
। এখন স্ট্র দিয়ে ফু দিচ্ছে স্প্রাইটের
বোতলে কি বিচ্ছিরি । কোন
রেস্টুরেন্টে গেলে ওয়েটারের
সাথে কয়েকপলকে ভাব কয়ে ফেলে এমন
অবস্থা যে ওয়েটার তার
বাচ্চাকালথেকে দোস্ত ।
- এই একটু থামতো কি করতেছ এটা ?
- উ কিছুনা
কিছুনা বলেই আবার শুরু করলো । ইতির
ইচ্ছে করছে যে উঠে চলে যায় । কিন্তু কিছু
জরুরী কথা ছিলো অন্বয়ের সাথে । অন্বয়
হয়তো জানে কিন্তু এখনি সব ক্লিয়ার
করা উচিত্ ।
- আমি উঠতে চাচ্ছি চলো ।
- এত জলদি ?
এখনি তো ধনিয়া ( রেস্টুরেন্টে খাবারের
পরে যেটা দেয় খেতে বাটিতে এনে )
গুলোই তো শেষ হলোনা ।
- আচ্ছা খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে নিও
এখানে আমি যাচ্ছি ।
এইবলার পরে ইতি চলে যাওয়ার জন্য
উঠেছে অন্বয়
ধনিয়াগুলো টিসুপেপারে ঢেলে নিয়ে উঠলো ।
দশ টাকা ওয়েটারের সাতে দিয়ে ইতির
সাথে বেরিয়ে পড়লো । আকাশে মেঘমেঘ
ঘড়িতে সাড়ে এগারোটা একটা রিকশা নিয়ে অন্বয়ের
সাথে যাচ্ছে ও জিয়া উদ্যানে ।
সেখানেই আজকে সব ক্লিয়ার করার
কথা মনে করেছিলো ইতি ।
আজ সব বিল ভাড়া ইতি দিয়েছে ।
রিকশা ওয়ালাকে ২০ টাকার একটা নোট
দিয়ে হাটা শুরু করলো ।উদ্যানের দিকে আর
গেলোনা আর সংসদ ভবনের পাশে রাস্তার
ফুটপাতে বসলো তারা ।
ফুটপাতটি রাস্তা থেকে উচু এবং বসার মত
জায়গা । আশেপাশে কিছু
জুটি বসে আছে একই রকম করে । দুরে ৩ জন
পুলিশকে দেখা যাচ্ছে ।
বলা শুরু করলো ইতি
- তুমি জানো তবুও কিছু বিষয়
এখনি বলে ফেলা উচিত্ । আমি আর
পারতেছি না । তুমি কি করছো ? এত
কমনসেন্স হীন কেমন করে হও তুমি ? আমি আর
পারছিনা । আমাদের সবকিছুর এখানেই শেষ
করা উচিত্ । আর আমি চাই তুমি আমার
থেকে অনেকটা দুরে যাও । আমি তোমার মুখ
আর দেখতে চাইনা । এখন কি বলবে বলো ।
একটু দমদিলো ইতি ।
কৃষ্ণচুড়া গাছের লাললাল ফুলের
দিকে তাকিয়ে ছিলো অন্বয় ।
ওদিকে তাকিয়েই বললো তুমি কি অন্য
কাওকে পেয়েছ ?
- না
- ও আচ্ছা । তা আমার কোন অন্য দায়িত্ব ?
- নেই ।
- আচ্ছা একটা জিনিষ তোমার
কাছে জানার ছিলো ।
- বলো ।
- ব্রেক আপের সময় কি বলতে হয় ?
- ভালোবাসা শুরুর একটা নির্দিষ্ট
ভাষা আছে । ব্রেক আপের নেই ।
- আচ্ছা একটা কথা রাখবে ?
- বলো ।
- আজকে একটু আমার সাথে ভিজবে আর একটু
পরে বৃষ্টি আসবে ?
- তুমি কিভাবে জানো একটু
পরে বৃষ্টি আসবে ?
- আমি জানি । ভিজবে একটু ?
ঠিক এইসময় বুকটা মোচড় দিয়ে উঠলো ইতির ।
তার ইচ্ছে করছে জোর গলায় একটু কেদে নিক
সে । এই সময়েই বৃষ্টিটা শুরু হলো ।
সিনেমাটিক
ভাবে বৃষ্টিটা কে এভাবে আসতে হবেই
এখন ? চারিদিকে ছুটোছুটি শুরু হয়েছে ।
রিকশা গুলো ঝড়ের
গতিতে চালানো হচ্ছে ।
আর
থাকতে পারলোনা ইতি থামাতে পারলোনা অশ্রুটাকে অঝরে কেদে উঠলো সে ।
অন্বয় এসময় ইতির ডানহাতটি ধররো ইতির ।
তার চোখেও জল । এই বৃষ্টির মাঝেও
ইতি তা দেখতে পেলো ।
ইতি জড়িয়ে ধরলো অন্বয়কে ফুপিয়ে কাদছে সে ।
অতীত গুলো মনে পড়ছে তার । এসময় অন্বয়
হটাত্ বলে উঠলো আগে কত সুন্দর দিন
কাটাতাম না ? ইতি কাঁদছেই !!!
.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ধন্যবাদ পোষ্ট পড়ার জন্য । আপনার মুল্যবান মন্তব্য এর আশা করছি ।