-হ্যাঁ । তবে এখন কিছুটা পরিবর্তন হয়েছি ।
-মনে হয় না কারন সেদিনের প্রতিবিম্ভ আমি এখনো তোমাএ মাঝে দেখি ।
-কিরকম ?
-আমায় ভালোবাসো না কিন্তু তা সরাসরি বলে কষ্ট দিতে চাও না ।
-তুমি কেনো ? আমি কাওকে কখনোই কোনভাবে কষ্ট দিতে চাই না ।
-সেটা আমি জানি । এতো নরম মনের মানুষ হয়ে সবসময় অমন গুপচি মেরে থাকো কেনো ?
-কিরকম ?
-এই ধর যে রাস্তায় হাটছো কিন্তু হুশ জ্ঞান নেই কাকে পাশ কাটিয়ে গেলে আর কাকে অভারটেক করলে ।তার উপর কানে ইয়ারফোন লাগালে মনে হয় দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন কোন এক মানুষ ।
-আমার ওইসব খেয়াল থাকেনা মাঝে মাঝে আমি আমার বাবাকেও চিনতে পারিনা । বাবা বাসায় এসে মা কে ডেকে বলেন “ঐযে তোমার মহারাজা ছেলে বাপের সামনে দিয়ে হন হন করে হেঁটে যান আর বাআব উনারে ডাকলেও শনেন না । বলি উনি কোন জগৎ এ থাকেন উনাকে একটু বাস্তবে আসতে বল নাহলে কপালে বিপদ আছে ।
-ভয়ংকর অবস্থা ।
-অনেকটাই সেইরকম ।
-একটা সত্যি কথা বলবে ?
- বল ।
-আচ্ছা আমার মধ্যে কিসের অভাব আছে যে তোমার মনে আজকেও যায়গা করে নিতে পারিনি ?
-উম্মম চিন্তা করে বলতে হবে হুহ ।
-ঐরকম হুহংকার না দিয়ে বলে ফেলো ।
-ওকে ডিরেক্টলি না ইনডিরেক্টলি ?
-একদম ডিরেক্টলি ।
-তোমার মধ্যে অভাবের অভাব আছে ।
-অভাবের অভাব ? মানে কি ?
-যার সবকিছুই পুর্ন্য থাকে তারই অভাব নামক জিনিষটার অভাব থাকে ।
-আচ্ছা আমরা কি আর একবার দেখা করতে পারি ?
-কিজন্য ?
-সেটা তুমি অনেক ভালোমত জানো তাই একবারের জন্য প্লিজ আমাকে যখন যেখানেই ডাকবে আমি যাবো । তবুও একবার ।
-হবেনা ।
-অন্তত আমার জন্য একবার মাত্র আর কখনো নয় । কখনোই করবোনা ।
-আমাদের মাঝে আরো কিছু কি বাকি আছে ?
-মানে ?
-আমি তোমাকে সব তো ফাইনালি বলে দিয়েছিলাম আমার থেকে দূরে সরে যাও ।
-আমি চাই । কিন্তু আর একটা বার মাত্র । একটা বার প্লিজ ।
-হৃদি ।
-বলো ।
-এখন বাসায় যাও ।
-না ।
-বাসায় যাবে তুমি এখন । আমি রিকশা ডাকছি ।
-আর একটু পর ।
-নাহ । এখনিই রাইট নাও ।
-আমাকে আর ভালো লাগছে না ?
-বাজে কথা বলিও না যেটা বলেছি সেটা কর ।
এরপর হৃদিকে একটা রিকশায় উঠিয়ে দিয়ে নিজের বাড়ির পথে হাঁটা ধরলো অর্নব ।
-হ্যালো ।
-(ওপাড় থেকে গভীর গলায় ) কি বিজি ?
- যদিও ফোনটা ধরা উচিত্ ছিলো না ।
-ইয়েস ।
-কিছু বলবে ?
- উমমম হু ।
-কি বলবে বলো ।
- ইয়ে আগে দেখোতো কয়টা বাজে ?
-মানে ?
-আরে সময় কত ?
-বারোটা বাজে ।
-আহারে বারোটা পার হইছে ?
-না দুমিনিট বাকি আছে ।
- (কিছুক্ষন চুপ থেকে) হ্যাপি বার্থডে হৃদি ।
-এটা কি উইশ করার সময় দিনটা পারই তো হয়ে গেলো । আর এখন দিচ্ছ ?
- আমি তোমার জন্মদিনের প্রথম উইশার না হলেও যেন একদম শেষের টা হই।
- পাগলামি না ?
- নাহ ভালোবাসি ।
- বাসোনা জানি ।
-আরে বাসিরে ।
- আমি এখন বাসিনা ।
- আচ্ছা !
- কি আচ্ছা ?
- কিছু না । কালকে দেখা করবে আরেকবার ?
-না ।
-পড়শু ?
-না ।
- তাহলে শুক্রবার ?
-না ।
-তাহলে কবে ?
-কখনো করবোনা আর ।
-এবার আমি চাচ্ছি । প্লিইইইইইইইজ ।
-না সাহেব ।
-প্লিজ প্লিজ প্লিজ শোনোওওও….